রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ওয়ানডেতে ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে দুইবার সেঞ্চুরির হ্যাটট্টিক করেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটার।
দীর্ঘদিন তাঁর ব্যাটে রান নেই। জাতীয় দলের জার্সির সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলে আরসিবির জার্সি গায়েও ব্যর্থ তিনি। একসময় তাঁকে রান মেশিন বলা হলেও, গত তিন বছর তাঁর ব্যাটে কোনও শতরান আসেনি। তিনি বিরাট কোহলি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ইতিহাস গড়ে একের পর এক রেকর্ড করেই চলেছেন। বুধবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শতরান করে দলকে জেতালেন তিনি এবং একইসঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম ১০০০ রান করলেন তিনি। ভেঙ্গে দিলেন কোহলির রেকর্ড। এই রেকর্ড এতদিন ছিল কোহলির দখলে। ১৭টি ইনিংসে এই রেকর্ড করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
পাক অধিনায়ক বাবর আজম মাত্র ১৩টি ইনিংসেই এই রেকর্ড করে ফেললেন। কোহলির থেকে চার ইনিংস কম খেলেই এই রেকর্ড ছুঁলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে বাবর করেছেন ৬টি শতরান ও ৩টি অর্ধশতরান।
প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেই হোপের ব্যাটে ভর করে ৩০৫ রান তোলে। ১২৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন হোপ। ৭০ রান করেন ব্রুকস। হ্যারিস রউফ পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট পান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামানকে দ্রুত হারালেও ইমাম উল হক ও বাবর আজম দ্বিতীয় উইকেটে ১০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ৬৫ রান করে ফিরে যান ইমাম উল হক।
ঝকঝকে ১০৩ রান করেন বাবর আজম। তবে শেষদিকে খুশদিল শাহ ২৩ বলে ধ্রুপদী ৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান। একদিকে বাবরের উথ্বান ও অন্যদিকে বিরাট কোহলির লম্বা অফ-ফর্ম স্বাভাবিকভাবেই হতাশ করবে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের।
এই বছরই রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে কোহলির ফর্মে ফেরা অবশ্যই প্রয়োজন। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের এখন একটাই প্রার্থনা, দ্রুত আগের ফর্মে ফিরুন কিং কোহলি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিশ্রামে থাকলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলে ফিরবেন কোহলি। তার আগে আয়ারল্যান্ড সফরে খেলবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। শেষ পাঁচ ম্যাচ হিসেব করলে অল্পের জন্য সাঙ্গাকারার রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি বাবর। এই পাঁচ ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন বাবর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৮ রান দিয়ে। মাঝে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচে করেছিলেন ৫৭, ১১৪ ও ১০৫* রান।